মুসলিম কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের জেরে এক নাবালক হিন্দুকে কিশোরকে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনা ঘটলো কর্ণাটকে। প্রেমিকার পরিবার খুন করার পর ওই নাবালকের যৌনাঙ্গ ও নাক কেটে নেয়। ঘটনা কর্ণাটকের কালাবুরাগী জেলার জেওরাগী তালুকের নারিবোল গ্রামের ঘটনা।
ঘটনায় মুসলিম প্রেমিকার পরিবার যুক্ত থাকলেও একাধিক জাতীয় সংবাদপত্র ও মিডিয়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের নাম ও খুন হওয়া কিশোরের নাম উল্লেখ করেনি।
খুন হওয়া কিশোরের নাম কোল্লি মহেশ। জানা গিয়েছে, গত ২২ শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মহেশ মন্দিরে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় এবং কিছুক্ষনের মধ্যে ফিরে আসবে বলে জানায়। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফিরে আসায় মহেশের পরিবারের লোকেরা তাকে তাঁর মুসলিম বান্ধবির বাড়িতে খুঁজতে যায়। সেখানে তাদেরকে একটি মোবাইল ফোন দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। মহেশের পরিবারের লোক জানায় যে ওই ফোনটি মহেশ তাঁর মুসলিম বান্ধবীকে উপহার হিসেবে দিয়েছিল। পরে তাঁরা থানায় যায় এবং মিসিং ডায়েরি করে।

পরে ২৫শে ফেব্রুয়ারি স্থানীয় ভীমা নদীতে একটি বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বস্তা খুলতেই মহেশের মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে মহেশের বাড়ির লোক তাঁর দেহ শনাক্ত করে। তাঁর যৌনাঙ্গ ও নাক কাটা ছিল। এমনকি দেহের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়।
পরে মহেশের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের অভিযোগ দায়ের করে। গ্রেপ্তার করা হয় মেহবুব এবং প্রেমিকার পরিবারের সদস্যদের। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩০২ ও ২০১ ধারায় মামলা দায়ের করার পাশাপাশি SC/ST আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, মহেশ দলিত সম্প্রদায়ের এবং তাঁরা বেদার উপজাতির অন্তর্ভুক্ত।