সেক্যুলারিজমের পতাকা বহনকারীরা প্রায়শই একথা বলে থাকেন যে ভারতের মুসলিম সমাজের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটেছে, কারণ তাঁরা অশিক্ষিত। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়লেই তাঁরা এসব মতবাদ থেকে দূরে সরে যাবেন। তাঁরা এও বিশ্বাস করেন এবং অপরকে বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করেন যে একমাত্র শিক্ষাই তাদেরকে সমাজের মুলস্রোতে মিশিয়ে দিতে সহযোগিতা করবে। কিন্তু। বাস্তবে কি তাই?
মুম্বইয়ের কল্যাণের বাসিন্দা আরিব মজিদ। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এই যুবক ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে সিরিয়া পাড়ি দেন। ঠিকই পড়ছেন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে মোটা বেতনের চাকরিতে যোগ না দিয়ে সিরিয়া গেলেন ইসলামিক স্টেটে(ISIS) যোগ দিতে। শুধু একা নয়, সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁর আরও ৩ বন্ধু। তাঁরা ট্রেনিং নিলেন জিহাদের। সিরিয়াতে লড়াই করলেন। মারা গেলেন আরিবের ৩ বন্ধু। গুলি লাগলো আরিব মজিদের পায়ে। চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। কোণঠাসা আরিব সীমান্ত পেরিয়ে তুরস্কের মাটিতে প্রবেশ করলেন। ধরা পড়লেন। পরে NIA দেশে ফিরিয়ে আনলো তাকে। শুরু হলো বিচার। একাধিকবার জামিনের আবেদন খারিজ করলো NIA আদালত।
কিন্তু বারবার জামিনের আবেদন করতে থাকেন আরিব মজিদ। বারবার যুক্তি দিতে থাকেন যে, সে একজন পথভ্রষ্ট যুবক এবং তাকে জামিন দেওয়া হোক। সত্যিই তো সে একজন পথভ্রষ্ট যুবক! শেষমেশ আবেদন করলেন বোম্বে হাইকোর্টে। বিচারপতিদের মন গলে গেল। NIA-এর আদালতের জামিন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করলেন বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতিরা। জামিনের জন্য নিম্ন আদালতে আবেদন করতে পরামর্শও দিলো আদালত। খুব শীঘ্রই জেলের বাইরে দেখতে পাবো আরিব মজিদকে। দেখবো, ভারতের মহান সংবিধান ও আইন এক জঙ্গিকে সমাজে মিশে যাওয়ার সুযোগ দিলো।