এটা কারওর অজানা নয় যে বাংলদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে প্রায় মুসলিম দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করে। কিন্তু এবার মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর করার পাশাপাশি ভিতরে প্রস্রাব ও পায়খানা করার ঘটনা ঘটলো। এবার ঘটনা ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার সোল্লা ইউনিয়নের অন্তর্গত সোল্লা বটতলা গ্রামের।
জানা গিয়েছে, গত শনিবার রাতে গ্রামের কালী মন্দিরে রাতের অন্ধকারে মোঃ হৃদয় নামে এক মুসলিম ব্যক্তি মন্দিরে প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করে। পাশপাশি, মন্দিরের ভিতরে পায়খানা ও প্রস্রাব করে ওই ব্যক্তি। পরেরদিন অর্থাৎ রবিবার স্থানীয়রা হিন্দুরা মন্দিরের ভিতরে প্রতিমা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে এবং প্রস্রাব, পায়খানা করে মন্দির অপবিত্র করা হয়েছে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন নবাবগঞ্জ থানার ওসি, উপজেলার চেয়ারম্যানসহ গোয়েন্দা দপ্তরের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ জাতীত হিন্দু মহাজোটের প্রচার সম্পাদক শ্রী গৌতম হালদার। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন যে, মন্দিরে এই ঘটনায় পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন, পাগল বলে দাবি করেছে পুলিশ। কিন্তু কেন বার বার পাগল হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায়, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।