নদীয়া জেলার দিগনগরের রাঘবেশ্বর মন্দিরে ভয়াবহ চুরি, খোওয়া গেল চারশত বৎসরের প্রাচীন কষ্টিপাথরের বাসুদেব (বিষ্ণু) মূর্তি।
নদীয়ার দিগনগরে অবস্থিত সুপ্রাচীন রাঘবেশ্বর মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত, চারশো বছরের প্রাচীন কষ্টিপাথরে নির্মিত বাসুদেবের বিগ্রহ চুরি গিয়েছে। গত ১৬ই জানুয়ারি, শনিবার রাতে দুষ্কৃতীরা তালা ভেঙে মন্দিরে ঢুকে, দুষ্প্রাপ্য ওই মূর্তি এবং রাঘবেশ্বর শিবের বহুমূল্য গহনা চুরি করে নেয়। উল্লেখ্য, রাঘবেশ্বর মন্দিরে এর আগেও বেশ কয়েকবার বিগ্রহের গহনা চুরির ঘটনা ঘটেছে। ১৬৬৯ খ্রীষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত সুপ্রাচীন মন্দিরটি থেকে বাসুদেবের বিগ্রহ চুরি ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, এই দিগনগর গ্রামের বাসিন্দাদের জলকষ্ট নিবারনের জন্য চারশো বছর পূর্বে রাজা রাঘব এখানে একটি দীঘি খনন করান। সেই খননকার্য চলাকালীন মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় এই প্রাচীন বাসুদেব মূর্তিটি। উদ্ধারকৃত মূর্তিটির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য রাজা রাঘব একটি সুদৃশ্য বিষ্ণু মন্দির নির্মাণ করান এবং সেই মন্দিরে বিগ্রহটির নিত্য পূজার ব্যবস্থা করেন। কালের প্রকোপে বাসুদেবের মন্দিরটি ধ্বংসস্তূপে পরিনত হলে, বর্তমানে রাঘবেশ্বর মন্দিরে রেখে বিগ্রহের সেবা পূজার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই মন্দিরের গর্ভগৃহে একটি সিংহাসনের ওপরে রক্ষিত ছিল সুদৃশ্য, বিরল ও বহুমূল্য বাসুদেব মূর্তিটি। আনুমানিক দুই ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট পাল যুগের শঙ্খচক্রগদাপদ্মধারী দন্ডায়মান বিষ্ণু (বাসুদেব) মূর্তিটি ছিল বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়। কারন, এই রকম সুন্দর পাল যুগের ভাষ্কর্য নদীয়া জেলায় বিরল।
Image Credit: Atanu Das
(বিষ্ণু মূর্তির ছবিটি চুরি হওয়ার আগে তোলা। )