কখন এবং কিভাবে রাম সেতুর নির্মাণ করা হয়েছিল? তা খুঁজে বের করতে বিশেষ গবেষণা শুরু করতে চলেছে ASI(ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষন)। সেই গবেষণায় যে সব বিজ্ঞানীরা অংশগ্রহণ করছেন, তাঁরা জানাচ্ছেন যে এই গবেষণার মাধ্যমে জানা যাবে রাম সেতু নির্মাণের সময়কাল ও রামায়ণের সময়কাল। ASI-এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটি ইতিমধ্যেই CSIR ও National Institute Of Oceanography-এর প্রস্তাবকে অনুমোদন দিয়েছে।
এই গবেষণায় কি কি থাকছে? জানা গিয়েছে, রাম সেতুর নির্মাণকাল এবং নির্মাণের পদ্ধতি জানতে আর্কিওলজিকাল পরীক্ষা, রেডিওমেট্রিক এবং থার্মোলুমিনিসেন্স( radiometric and thermoluminescence) ডেটিং পরীক্ষা করা হবে। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত অধ্যাপক সুনীল কুমার জানিয়েছেন যে, রেডিওমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানার চেষ্টা করা হবে যে এই সেতুর মধ্যে প্রবালের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা। প্রবালের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম কার্বনেটের ডেটিংয়ের মাধ্যমে আমরা রামায়ণের সময়কালের ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করবো।
প্রসঙ্গত, রামায়ণ ও রাম সেতু নিয়ে বিতর্ক অনেক পুরোনো। অনেকেই এটাকে পৌরাণিক কাহিনী বললেও, একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে যে শ্রী রাম ঐতিহাসিক চরিত্র। এমনকি এর আগে রাম সেতু ভেঙে দেওয়ারও উদ্যোগ হয়েছিল। কিন্তু নাসা তাদের এক গবেষণায় জানিয়েছিল যে এই দীর্ঘ সেতু মানুষের তৈরি। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। এমনকি কংগ্রেসকে এটাকে কখনোই মানতে চায়নি। ফলে রাম সেতু নিয়ে নতুন করে গবেষণায় অনেক নতুন তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।