ছিল না কোর্টের নির্দেশ কিংবা প্রশাসনের বিধিনিষেধ। এমনকি বাজি বিক্রিতেও ছিল না কোনো নিষেধাজ্ঞা। আর তার রাজ্যজুড়ে দেদার ফাটানো হলো বাজি। বেশিরভাগ জেলা শহরে ব্যাপকভাবে বাজি ফাটানোর খবর পাওয়া গিয়েছে। অধিক রাত পর্যন্ত বাজির শব্দে কান পাতা দায় হয়ে উঠেছিল। তবে গ্রামাঞ্চলে বাজির শব্দ তেমন শোনা যায়নি। সূত্রের খবর, কয়েকটি স্থানে এর পরিমাণ শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে, যা কালী পূজা ও দীপাবলিকেও হার মানিয়েছে। বাজির ধোঁয়ায় আকাশ-বাতাস ভরে গেলেও কিছু করার ছিল না প্রশাসনের। কারণ কালী পূজা ও দীপাবলিতে যেভাবে শব্দবাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তার ছিটেফোঁটাও ছিল বর্ষবরণের দিনে। তবে বেশ কিছু স্থানে বাজি ফাটানোর দায়ে কিছু মানুষকে আটক করে পুলিশ।
তবে অনেকের মতে, কালী পূজা ও দীপাবলীর দিনে নিষেধাজ্ঞার কারণে বহু মানুষ বাজি ফাটাতে পারেননি। সেইসব জমে থাকা বাজি ফাটানো হয়েছে বর্ষবরণের রাতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বাজি ফাটানো নিয়ে নানারকম মিম ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে ব্যঙ্গের সুরে বলছেন, দীপাবলি ও কালী পূজায় বাজি ফাটালে পরিবেশ দূষণ হয়। কিন্তু বর্ষবরণের রাতে বাজি ফাটালে অক্সিজেন তৈরি হয়।