আবারও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মস্থানের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটলো। এবার কারকের একটি হিন্দু মন্দিরকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলো উন্মত্ত মুসলিম জনতা। গতকাল ৩০শে ডিসেম্বর, বুধবার এই ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, কারকের তেরি এলাকায় অবস্থিত হিন্দু মন্দিরটি অন্ত্যন্ত প্রাচীন। বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় কিছু ইসলামিক মৌলবাদী গোষ্ঠী প্রচার করে আসছিল যে মূর্তি ইসলামে হারাম। তাই ইসলামিক দেশে কোনও মূর্তি থাকবে না। এইভাবে তাঁরা সাধারণ জনতাকে উস্কানি দিচ্ছিল। তাতে উন্মত্ত হয়ে ওঠে মুসলিম জনতা।
গতকাল বিকেলের দিকে একদল উন্মত্ত মুসলিম জনতা প্রথমে মন্দিরে হামলা চালায়। তাঁরা মন্দিরের দরজা জানালায় আগুন লাগিয়ে দেয়। তারপর মন্দিরের চূড়া, দেওয়াল সব ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ এলেও ধর্মান্ধ মুসলিম জনতাকে ঠেকাতে কোনও পদক্ষেপ করেনি তাঁরা। ফলে দিনের আলোতেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো প্রাচীন হিন্দু মন্দিরটি।
হিন্দু মন্দির ভাঙা, হিন্দু মেয়েদের অপহরণ ও ইসলামে ধর্মান্তরন পাকিস্তানে অতি সাধারণ ঘটনা। সে দেশের ইসলামিক মৌলবাদীরা দেশ থেকে হিন্দু নিশ্চিহ্ন করার ডাক দিয়েছে। আর আইস। ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠলেও হিন্দু সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষায় কোনও পদক্ষেপ করেনি পাকিস্তান সরকার।