গত ২১ মাস ধরে কোকরাঝাড় ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি অমলা দাস। সন্দেহভাজন নাগরিকের তকমা সেঁটে দিয়ে ওই মহিলাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ডিটেনশন ক্যাম্পে। এমনকি মৃত স্বামীর মুখটুকু দেখতে চেয়ে আবেদন করলেও অনুমতি মেলেনি। ফলে ডিটেনশন ক্যাম্পের যন্ত্রণার মাঝেই মৃত স্বামীর মুখটা শেষবারের মতো দেখতে পেলেন না অমলা দাস। এই যন্ত্রণার কাহিনী আসামের চিরাং জেলার বিষ্ণুপুরের।
জানা গিয়েছে, গত ১৬ই ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় অমলা দাসের স্বামী গোপেশ দাসের। মৃত স্বামীকে শেষবারের মতো দেখতে চেয়ে কয়েকদিনের জন্য জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কতৃপক্ষের তরফে একদিনের জন্য ছুটির মঞ্জুর করা হলেও পরিবারের সদস্যরা তা মেনে নেননি। ফলে ডিটেনশন ক্যাম্পেই ওই মহিলার সিঁদুর মোছার ব্যবস্থা করা হয়।
অমলা দাসের ঘটনা বাঙালির যন্ত্রণাকে চোখে আঙুল দিয়ে আর একবার দেখিয়ে দিল। আদমের বিজেপি সরকার মুখে যতই হিন্দুর পক্ষে আওয়াজ তুলুক না কেন, বাস্তবে যন্ত্রনা ক্লিষ্ট বাঙালির যে জীবনের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি তাতে, এই ঘটনাই তাঁর প্রমান। ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাঙালির ভোট বিজেপি থেকে সরে অন্যত্র যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।