© প্রীতম দাস
উত্তর-পূর্ব ভারতে আতঙ্কবাদের মূলে রয়েছে এই খ্রীষ্টান মিশনারীরা। ব্রিটিশের থেকে স্বাধীনতা অর্জন করতে একসময় উত্তর-পূর্ব ভারতের জনজাতি হিন্দুরা অগ্রিম ভূমিকা নিয়েছিল। ব্রিটিশ হোক বা বিদেশি মুসলিম শাসক হোক , উত্তর-পূর্ব ভারতে সব থেকে কম শাসন করতে পেরেছিল।
আজ কেন এই জনজাতিরা (শুধু নব্য খ্রীষ্টানরা) ভারত তথা ভারতীয়দের বিরুদ্ধে লড়ছে ? উত্তর-পূর্বের প্রত্যেকটি প্রদেশেই ভারত বিরোধী এক হিংসাত্মক পরিবেশের সৃষ্টি করেছে খ্রীষ্টান মিশনারীরা । নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয়ে হিন্দুরা (শুধু জনজাতি) শূন্যতার দিকে তাই সেখানে আতঙ্কবাদ বেশি। অন্যদিকে অসম , ত্রিপুরা , মণিপুর , অরুণাচল প্রদেশে মোটামুটি হিন্দু থাকার জন্য সেইসব অঞ্চলে আতঙ্কবাদ তুলনামূলকভাবে কম ।
বজরং দলের সমালোচনা করার থেকে বেশি প্রয়োজনীয় এইসব তথ্য । আসুন যুক্তি দিয়ে কথা বলুন , বজরং দল রামকৃষ্ণ মিশনের বিরোধীতা করেনি কিন্তু যেসময় সম্পূর্ণ ভারতে খ্রীষ্টান মিশনারীদের হিংসার শিকার হচ্ছে হিন্দুরা তখন মিশনে খ্রীষ্ট পূজা কেন ? যেসময় খ্রীষ্টান মিশনারীরা হিন্দুদের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করাচ্ছে তখন আপনাদের এই আওয়াজ চুপ ছিল কেন ? যখন বাংলাদেশে রামকৃষ্ণ মিশন জালিয়ে দেওয়া হয় তখন বজরং দল প্রতিবাদ করে , অপনারা কোথায় থাকেন ?
চার্চে কী স্বামী বিবেকানন্দ বা রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের পূজা হয় ? তাহলে মিশনে কেন হবে ?
অনেকেই খ্রীষ্টান মিশনারীদের দ্বারা পরিচালিত বিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ তুলছেন । হ্যাঁ এই বিদ্যালয়গুলিরও বিরোধীতা করি । এই বিদ্যালয়গুলি থেকে বেরিয়ে আশা হিন্দুরা নিজেরই সংস্কৃতি ও ধর্মের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। হাতেগোনা কয়েকজন আছে যারা হিন্দুত্বের জন্য কাজ করছে। এই খ্রীষ্টান মিশনারী পরিচালিত বিদ্যালয়গুলিই হিন্দুদের টাকা দিয়ে হিন্দুদের সন্তানকেই মানসিক গোলামে পরিণত করছে ।
সময় থাকতে বদলান , অতীতে যদি কোনো ভূল রাস্তায় ছিলাম তাহলে এখন সেই রাস্তা ত্যাগ করে আসতে হবে।
(মতামত লেখকের ব্যক্তিগত)