মালদহের হবিবপুরে এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তারের পর চিন্তা বেড়েছে গোয়েন্দাদের। কারণ ওই ব্যক্তির কাছে আসল ভারতীয় আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে। সে নিজে বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও তাঁর কাছে ভারতীয় আধার কার্ড এলো কি করে, তা খুঁজে বের করাই এখন চ্যালেঞ্জ। পুলিশের অনুমান, জাল আধার কার্ড তৈরির চক্র সক্রিয় রয়েছে জেলাতে। তারাই টাকার বিনিময়ে জাল আধার কার্ড তৈরি করে দিচ্ছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের।
জানা গিয়েছে, চাঁপাই নবাবগঞ্জের বাসিন্দা ওই পাচারকারীর নাম শেখ ফারুক। গত শনিবার রাতে হবিবপুর থানার চণ্ডীপুর এলাকার সীমান্ত পার হয়ে সে এদেশে ঢোকে। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন গোরু পাচারকারীও সীমান্ত পার হয়। সীমান্ত সংলগ্ন নির্জন এলাকায় তারা ঘোরাফেরা করছিল। খুব সম্ভবত তারা সেখানে এপারের পাচারকারীদের জন্য অপেক্ষা করছিল। খবর পেয়ে পুলিস সেখানে অভিযান চালায়। বাকিরা পালিয়ে গেলেও ফারুক পুলিসের হাতে ধরা পড়ে যায়। পুলিস থেকে বাঁচতে প্রথমে নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করে ফারুক। প্রমাণ হিসেবে সে ওই আধার কার্ড পুলিসের সামনে পেশ করে। তাতে কালিয়াচক থানার সুজাপুরে তার বাড়ি বলে উল্লেখ রয়েছে। এমনকী আধার কার্ডে থাকা ছবিটিও ফারুকেরই।
প্রসঙ্গত, সীমান্তের কাছেই গ্রেপ্তার করা হয় ফারুক শেখ নামে ওই বাংলাদেশিকে। ফারুক আবার একজন গরু পাচারকারীও বটে। কোনও পাচারকারীর পক্ষে এদেশের আধার কার্ড করিয়ে নেওয়া মুশকিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তি তা কোনওভাবে করিয়েছে। একই পদ্ধতিতে তো জঙ্গিরাও আধারকার্ড করিয়ে নিতে পারে। রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে পাকড়াও করা না হলে ফারুকের পক্ষে এদেশে দিনের পর দিন কাটানো কঠিন হতো না। অথচ সে বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা।
Image credit: Uttarbangasambad.in