ধর্মান্তরণ নিয়ে বড় রায় দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। এক পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের মন্তব্য, যদি কোনো প্রাপ্তবয়স্কা মহিলা নিজের ইচ্ছায় কাউকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হন, তাহলে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারিনা। গতকাল ২১শে ডিসেম্বর, সোমবারএক পিটিশনের ভিত্তিতে এমনই রায় দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ ব্যানার্জি এবং বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জির বেঞ্চ।
নদীয়া জেলার তেহট্ট-এর এক বাসিন্দা কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন। তাঁর বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, তাঁর কন্যা পল্লবী সরকার সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ই তারিখ থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরে তাকে তেহট্টের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হলে সে গোপন জবানবন্দি দেন। ওই ব্যক্তির অভিযোগ ছিল যে, তাকে তাঁর মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তিনি এও দাবি করেছিলেন যে, তাঁর কন্যাকে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকতে দেওয়া হয়েছে। তাঁরই ভিত্তিতে এই মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদ্বয়।
প্রসঙ্গত, পল্লবী সরকার গত ১৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরে সে নিজের ইচ্ছায় আসমাউল শেখকে বিয়ে করে। এমনকি পল্লবী সরকার নিজের ইচ্ছায় ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। ইসলামে ধর্মান্তরণের পর তাঁর নাম হয় আয়েশা খাতুন। পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর পিতা। তারই ভিত্তিতে পল্লবী ওরফে আয়েশা আদালতে পেশ করে পুলিশ। সেখানে সে গোপন জবানবন্দি দেয়। সেসব কোর্টের সামনে পেশ করা হয়। তারই ভিত্তিতে হাইকোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যদি কোনো মহিলা নিজের ইচ্ছায় কাউকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হন, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।