পিতার দাবি, তাঁর মৃত মেয়ের সৎকার করা হবে। কিন্তু স্বামীর দাবি, তাঁর স্ত্রীকে ইসলামের রীতি অনুযায়ী কবর দেওয়া হবে। আর এনিয়ে মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। আর এসবের মাঝেই ওই বৌদ্ধ কিশোরীর দেহ মর্গে পড়ে রয়েছে দুই সপ্তাহ ধরে। ঘটনা কক্সবাজার জেলার।
জানা গিয়েছে, এই বছর জানুয়ারি মাসের ৫ই জানুয়ারি অপহরণ করা হয় টেকনাফের বৌদ্ধ নাবালিকা ল্যাকিংমে চাকমাকে। তাঁর পিতা ৯ই জানুয়ারি থানায় অভিযোগ দায়ের করে বলেন যে তাঁর মেয়েকে আতাউল্লাহ নামে এক যুবক অপহরণ করেছে। কিন্তু পুলিশ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে FIR দায়ের না করে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে। অপহরণের সময় ওই কিশোরী ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। তারপরে জানা যায় যে, বছর পনেরোর ওই নাবালিকা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছে এবং তাঁর নাম পরিবর্তন করে হালিমাতুল সাদিয়া রাখা হয়েছে।
গত ১০ই ডিসেম্বর ইসলামে ধর্মান্তরিত কিশোরীর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন ওই বৌদ্ধ নাবালিকার পরিবার। কিন্তু হাসপাতালে তাঁরা দেখেন যে তাদের মেয়ের নাম রাখা হয়েছে হালিমাতুল সাদিয়া। কিন্তু তাঁরা মেয়ের দেহ নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেয় আতাউল্লাহ নামে এক যুবক। তাঁর দাবি, ওই কিশোরী তাঁর স্ত্রী এবং তাকে ইসলামের রীতি অনুযায়ী কবর দেওয়া হবে। অন্যদিকে নিজের মেয়ের সৎকার বৌদ্ধ রীতি অনুযায়ী করতে চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আর এসবের মাঝে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পড়ে পড়ে পচছে ইসলামে ধর্মান্তরিত নাবালিকা কিশোরী ল্যাকিংমে চাকমার দেহ।