খাদ্য স্বাধীনতার অধিকারের কথা বলে হালাল মাংস বয়কটের ডাক দিল কেরালার খ্রিস্টান সংগঠনগুলি। তাঁরা এই দাবিতে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছে। তাদের দাবি, ইচ্ছা না হলেও তাঁরা হালাল মাংস খেতে বাধ্য হন। কারণ তা ছাড়া তাদের কাছে আর কোনো বিকল্প থাকে না। সেইসঙ্গে তাদের আরও ঘোষণা, খ্রিস্টমাস উৎসবের দিনে আমরা নিজেরাই মাংস কেটে রান্নার ব্যবস্থা করবো। আর এই ঘোষণার পরই যথারীতি শুরু হয়েছে বিতর্ক।
প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিক হিন্দু সংগঠন হালাল বয়কটের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু সেইসময় বিভিন্ন মহল থেকে কড়া সমালোচনা ভেসে এসেছিল। কিন্তু তারপরেও খাদ্য স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করতে হিন্দু ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই অনেককেই হালাল মাংস খেতে হয়।
কেরালার কোচি শহরের পরিচিত খ্রিস্টান সংগঠন ‛কাসা’ Church’s Auxiliary for Social Action (CASA) তাঁরা খ্রিস্টানদের কাছে হালাল বয়কট করার দাবি জানিয়েছেন। আর এই বয়কটের ডাক শোনার পরই বিরোধিতা করেছে একাধিক মুসলিম সংগঠন। তাদের অভিযোগ, এই বয়কটের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন মুসলিম ব্যবসায়ীরা, যারা প্রধানত হালাল মাংস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। IUML(ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ) এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তাদের অভিযোগ, হালাল বয়কটের কথার আড়ালে আসলে মুসলিমদের টার্গেট করে হচ্ছে। এর মধ্যে বহু মুসলিম ব্যবসায়ীর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই তাদের আশঙ্কা। যদিও, খ্রিস্টান সংগঠনটির কথায়, হালাল একটি বিশেষ পদ্ধতি, যা ইসলাম ধর্মের মানুষদের জন্য বৈধ। আর তা আমরা বাধ্য হয় খেতে এবং এর ফলে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাই আমরা হালাল বয়কটের ডাক দিয়েছি।
ফেসবুকে হিন্দু সংহতি পেজের কভার ফটো দেখলে মনে হয়,, হিন্দু জাতি কত খারাপ
Comments are closed.