ত্রিপুরার সাব্রুম সীমান্তে কাঁটাতার না থাকার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে চলছে অবাধে অনুপ্রবেশ। আর অনুপ্রবেশের পর জনতার ভিড়ে মিশে যাওয়ার ফলে তাদের পরবর্তীকালে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা মুশকিল হয়ে উঠেছে। ফলে আগামীদিনে ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে তা বিপজ্জনক হয়ে দেখা দিতে পারে এই খোলা সীমান্ত।
ত্রিপুরার সাব্রুম সীমান্তের ওপারে রয়েছে চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি উপজেলার রামগড় এলাকা। মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে ফেনী নদী। এখানে ফেনী নদী অতটা বড়ো নয়। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দিনের আলোতে চলছে অনুপ্রবেশ এবং পাচার। আর তার কারণে আশেপাশের এলাকায় বাড়ছে চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ। স্থানীয়দের অনেকেই Hindu Voice-এর প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশী মুসলমান অনুপ্রবেশ ঘটে এই এলাকা দিয়ে। কিন্তু কাঁটাতার কিংবা পাহারা না থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব নয়। আর সীমান্ত খোলা থাকায় রোহিঙ্গা মুসলিম অনুপ্রবেশ ঘটার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ১৪ জন রোহিঙ্গা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করেছিল রেল পুলিস। তাদেরকে রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরায় তাঁরা জানায় যে, ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে দালাল মারফত ভারতে প্রবেশ করেছিল। তারপর দালাল তাদের রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট কেটে ট্রেনে তুলে দেয়। তাঁরা দিল্লীর রোহিঙ্গা বস্তিতে যেতে চেয়েছিল। ফলে তাঁরা সাব্রুম সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।