কালীপুজোর দিনে নিলামবাজারে ত্রিপুরার দুই হিন্দু যুবতীর গণ ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে । জানা গেছে, গত ১৩ই নভেম্বর, শুক্রবার সন্ধে শিলচরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আত্মীয়কে দেখে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি না পেয়ে ধর্মনগর পর্যন্ত যাওয়ার জন্য একটি সেন্ট্রো গাড়ি ভাড়া করেন দক্ষিণ ত্রিপুরার দুই বোন। আর এটাই বিপদ ডেকে আনে। দুস্কৃতীদের পাল্লায় পড়তে হয় তাঁদের। চক্রান্ত করে নিলামবাজারে এনে রাতভর গণধর্ষণ করে কালীপুজোর দিনই শনিবার সকালে পথে ছেড়ে দেওয়া হয় অসহায় দুই বোনকে। পরে পাঠারকান্দি থানায় মামলা দায়ের করে ধর্ষণের শিকার দুই বোন।
অভিযোগ মতে, ভাড়া করা গাড়িতে চালক ছাড়া আরও এক যুবক ছিল । তারা রাত এগারোটার দিকে দুই যুবতীকে নিয়ে চেরাগির ধাবায় পৌছে খাওয়া-ধাওয়া সেরে একটি শর্ট-কাট রাস্তা দিয়ে ধর্মনগর যাওয়ার কথা বলে তাদের নিয়ে নিলামবাজার এলাকার একটি নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ে পৌঁছে। ওখানে আগে থেকেই আরও চার যুবক ছিল। তারা দুই বোনের একজনকে গ্রাউন্ড ফ্লোর ও আরেকজনকে ফার্স্ট ফ্লোরে নিয়ে গিয়ে তিন তিনজন করে ৬ দুষ্কৃতী রাতভর দুই বোনকে গণধর্ষণ করে ভোরের দিকে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অন্যান্য জিনিসপত্রের ব্যাগ রেখে বিল্ডিং থেকে বের করে দেয়। নিরুপায় হয়ে একটি ট্রাকে করে তাঁরা সকালের দিকে পাথারকান্দিতে পৌঁছায়।
শেষ পর্যন্ত ঘটনার বিবরণ জানিয়ে এ দিন, পাথারকান্দি থানায় মামলা দায়ের করলে পাথারকান্দি পুলিশ তাদেরকে নিয়ে ঘটনাস্থল শনাক্ত করতে বের হয়। তখন নিলামবাজারের বাজার এলাকায় থাকা ঘটনাস্থলটি শনাক্ত করে পুলিশ। এই সময় ধর্ষিতারা এক দুস্কৃতীকেও শনাক্ত করে। নিলামবাজার থানার সিআই আনোওয়ার হোসেন চৌধুরী তাৎক্ষণিক ভাবে আব্দুল আহাদ নামের বিল্ডিংয়ের এক মিস্ত্রিকে গ্রেফতার করেন।
সিআইর নেতৃত্বে মহিলা পুলিশের এক বড়সড় তদন্তকারি দল তদন্তে নেমে ধর্ষিতার অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে । তদন্তকারী পুলিশের দল ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে নানা প্রমান সংগ্রহ করেছে তাঁরা। একজনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।