ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে কটু মন্তব্য করেছেন দুই হিন্দু ব্যক্তি- এই অভিযোগ তুলে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলো মুসলিম জনতা। ঘটনা বাংলাদেশের কুমিল্লার মুরাদনগরের বাঙ্গারা থানা এলাকার কোরবানপুর গ্রামের। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪টি হিন্দুদের বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত মুসলিম জনতা। কয়েকজন হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে উন্মত্ত জনতা। তবে পুলিশ সঠিক সময়ে ওই দুই হিন্দু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করায় প্রাণে বেঁচে যান তাঁরা।
ঘটনার সূত্রপাত ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে। মুসলিম জনতার অভিযোগ ছিল যে কোরবানপুর গ্রামের দুই হিন্দু ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে কটু মন্তব্য করেছে। তাদের মধ্যে একজন স্কুলের শিক্ষক এবং অন্যজন ফ্রান্স প্রবাসী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু সেই অভিযোগ প্রমান হওয়ার পূর্বেই এলাকায় হামলা চালায় কয়েকহাজার উন্মত্ত মুসলিম জনতা। একের পর এক হিন্দু বাড়িতে ভাঙচুর চালায় জনতা। ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ৪নং পূর্বধৈইর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান বনকুমার শিবের বাড়িঘর। বাদ যায়নি ওই দুই যুবকের বাড়িঘরও। তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত, ধর্মান্ধ মুসলিম জনতা। পাশাপাশি, বাড়ির মহিলাদেরও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

যেভাবে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে, তাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাংলাদেশের হিন্দুদের মধ্যে। কেননা, এর আগে অনেক ঘটনায় দেখা গিয়েছে যে, সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচার করে জনতাকে উস্কানি দিয়ে হিন্দুদের ওপর হামলা করানোর ঘটনা ঘটেছে। মুরাদনগরের ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ করার পূর্বেই হামলা চালালো ধর্মান্ধ মুসলিম জনতা। এখন দেখার, উন্মত্ত মুসলিম হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। তার দিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশের হিন্দু জনতা।