অনুবাদ: সূর্য শেখর হালদার
৫. কানপুরে গাছে বেঁধে বিকাশ যাদবের নৃশংস হত্যা
18 অক্টোবর 2019 বিকাশ যাদব নামে এক ব্যক্তি নৃশংসভাবে নিহত হয়। উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর জেলার ঝিন্দ কি নামক শহরে একদল উত্তেজিত মুসলিম জনতা একটি ময়দাকলের বছসাকে কেন্দ্র করে বিকাশকে হত্যা করে । এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয় যাতে দেখা যায় একদল উত্তেজিত রক্তলোলুপ মুসলিম জনতা একটি গাছে বেঁধে রেখে বিকাশকে হত্যা করে।
৬. মুর্শিদাবাদের হিন্দু পরিবার হত্যাকান্ড :-
বিগত 10 ই অক্টোবর 2019 পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে এক হাড়হিম করা হত্যাকান্ড ঘটে, যাতে নিহত হন একই পরিবারের তিনজন সদস্য – বন্ধু প্রকাশ পাল নামক রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এক স্বয়ংসেবক , তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী এবং তাদের ছয় বছরের বালক পুত্র। তিনজনকেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ বাদেই পুলিশ উৎপল বেহেরা নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে । পুলিশি জেরায় ওই ব্যক্তি স্বীকার করে যে 24 হাজার টাকার জন্য সে এই অপরাধ সংগঠিত করে ।তবে হত্যার প্রকৃতি দেখে শুধু মাত্র কয়েক হাজার টাকার জন্য কোন ব্যক্তি
(যে পেশাগতভাবে খুনি নয় কিংবা অপরাধের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই) সে এইরকম হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করতে পারে কিনা সেটা নিয়ে মনে সন্দেহ জাগে।
৭. গণপিটুনিতে গঙ্গারাম সিংয়ের হত্যা :-
বিগত 2019 সালের 19 জুন গঙ্গারাম সিং চৌহানকে তার মেয়েকে অপহরণের জন্য পুলিশ চৌকিতে লিখিত আবেদন জানানোর অপরাধে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ জেলার আলিয়াবাদ নামক গ্রামে। গঙ্গারামকে তার বাড়িতেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়, যেহেতু তার 13 বছরের কন্যা অপহরণের অভিযোগ তিনি দিলারি পুলিশ থানায় দায়ের করেন। নাবালিকা মেয়ে দ্বিতীয়বার অপহৃতা হবার পর গঙ্গারাম তার প্রতিবেশী মোহাম্মদ দানিশ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে পুলিশ থানায় আবেদন করে। উল্লেখ্য প্রথমবার অপহরণের পর পরিবারটি সামাজিক লজ্জার ভয়ে পুলিশ থানায় অভিযোগ করেনি।
দুঃখজনকভাবে 55 বছর বয়স্ক গঙ্গারামকে তার মেয়েকে বাঁচানোর প্রচেষ্টার দাম দিতে হয় নিজের জীবন দিয়ে। চৌহান এর স্ত্রী দাবি করে মোট 6 জন পুরুষ এবং দুজন স্ত্রী লাঠি এবং কসাইয়ের ছুরি নিয়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকে আসে। তাদের মুখে ছিল অশ্রাব্য ভাষা এবং তারা চৌহানের স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করে। তারপর তারা চৌহানকে বুকে সজোরে ঘুসি মারে ।চৌহান তখন একটি খাটিয়াতে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিল। তারপর তারা চৌহানকে উঁচুতে তুলে ধরে বেশ কয়েকবার মেঝেতে আছাড় মারে। চৌহান অচৈতন্য হয়ে গেলে তারা চলে যায়।
” ওরে হিন্দুর দল আমাদের জায়গা ছেড়ে দে ।”
সাফায়াত নবীর পরিবার গঙ্গারামকে হত্যা করার সময় চিৎকার করে বলে । সেই রাত্রেই মোট 6 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এফআইআর দায়ের করা হয়। এই 6 জন অভিযুক্ত হল সাফায়াত নবী, তার তিন ছেলে – মোহসিন, ছোটু এবং দানিশ আর তাদের দুই তুতো ভাই আক্রাম ও ইরফান।
৮. মথুরাতে হিন্দু লস্যি বিক্রেতা ভরত যাদবের মুসলিমদের গণপিটুনিতে মৃত্যু :-
18 মে 2019 তারিখে উত্তেজিত মুসলিম জনতা উত্তরপ্রদেশের মথুরা শহরে লস্যি বিক্রেতা দুই ভাইকে আক্রমণ করে। ঘটনাটি ঘটে কৃষ্ণ জন্মভুমি নিকট ভিড়ে ঠাসা চকবাজারে । ঘটনাটি ঘটে বোরখা পরিহিত মুসলিম মহিলার সঙ্গে সামান্য ঝগড়ার পর। সেই মহিলা তাঁর সঙ্গে বৈষম্যমূলক ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে রক্তলোলুপ কিছু জনতাকে ‘নাট্যু যাদব লস্যি ওয়ালা’- নামক দোকানে ডেকে নিয়ে আসে। এই জনতা লস্যি বিক্রেতাদের নৃশংসভাবে পেটাতে থাকে। আর লস্যি বিক্রেতাদের অমুসলিমদের কাছে অমর্যাদাকর’ কাফির ‘ সম্বোধন করতে থাকে।
লস্যি বিক্রেতা দুই ভাই পঙ্কজ এবং ভরত যাদব এই আক্রমণে মারাত্মকভাবে আহত হয়। দুই ভাইকেই ক্ষতের চিকিৎসার জন্য হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বড় ভাই ভরত এর শরীরে আভ্যন্তরীণ আঘাত ছিল। সে কারণে এক সপ্তাহের মধ্যে বড় ভাই ভারতের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং পরদিনই সে মারা যায়। ময়নাতদন্তে প্রকাশ পায় যে ভরতের মস্তিষ্কে এবং স্নায়ুতে গুরুতর আঘাত লাগার ফলে তার মৃত্যু হয়।
(তথ্যসূত্র: OpIndia.com)