পশ্চিমবঙ্গ থেকে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যাওয়া এক হিন্দু বালককে উদ্ধার করলেন বজরং দলের সদস্যরা। তাকে হরিয়ানার মেওয়াট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ছেলেটি তাঁর নাম রাজু সন্ন্যাসী জানিয়েছে। তাঁর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বালাবাড়ি গ্রাম। প্রায় বছর পাঁচেক আগে রাজু ও তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে ভালো কাজের টোপ দিয়ে দিল্লীতে নিয়ে যায় এক ব্যক্তি। পরে তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই মতো রাজুকে হরিয়ানার মেওয়াটে এক পতিতাপল্লীতে কাজ দেওয়া হয়। সেখান থেকে হাসান খান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে কাজে লেগে পড়ে সে।
রাজুর নিজের কথায়- “হাসান খানের বাড়িতে সারাদিন কাজ করতাম আমি। ট্রাক্টর চালানোর কাজ করতাম। কিন্তু চারমাস পরে টাকা চাইলে আমাকে মারধর করে হাসান খান ও তাঁর ছেলেরা। বাড়ির সঙ্গে কথা বলতেও দিতো না”। এইভাবে অত্যাচার চলে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে তাকে। সে রাজি না হওয়ায় হাসান খান ও তাঁর পরিবারের লোকেরা তাকে মারধর ও নির্যাতন করে। বর্তমানে রাজুর বয়স ১৮-১৯ বছর। এমনকি তাঁর সঙ্গে থাকা আধার কার্ডটিও ছিঁড়ে দিয়েছে হাসান খান।
কয়েকদিন আগে পাশের গ্রামে কাজ করতে এক যুবককে নিজের কথা খুলে বলে রাজু। সেই খবর পৌঁছায় বজরং দল সদস্যদের কানে। তাঁরা হাসান খানের বাড়িতে গিয়ে রাজুকে উদ্ধার করে আনে। পর বজরং দলের তরফে রাজুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর পরে সন্তানের কথা শুনে কেঁদে ফেলেন রাজুর মা। তিনি ভেবেছিলেন যে তাঁর পুত্রের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে রাজু বজরং দলের সদস্যদের হেফাজতে রয়েছে। তাকে দ্রুত বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।