গ্রামে উন্নয়ন হয়নি স্বাধীনতার এত বছর পরেও। নেই পাকা রাস্তা, পানীয় জল কিংবা চিকিৎসার সুব্যবস্থা। তাই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের চারটি গ্রামের বাসিন্দারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তাঁরা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হবেন। এ কাহিনী মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে ২০০ কিমি দূরে অবস্থিত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী চারটি গ্রামের। গ্রামগুলি হলো- হিঙ্গারিয়া, হুরাইরা, লাহালেইন ও লেজরি। ওই চারটি গ্রামের মিলিত জনসংখ্যা ৫০০০। গ্রামের প্রায় সকলেই উপজাতি সম্প্রদায়ের। তাদের হেডম্যান বা মুখিয়া হলেন কুঞ্জইমন আমসে। তিনিই বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রধান উদ্যোক্তা।
বাংলাদেশ সীমান্তের কাছ মেঘালয়ের গ্রামগুলি প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। নেই কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা। স্বাধীনতার এত বছর পরেও পাকা রাস্তা হয়নি। নেই চিকিৎসা ব্যবস্থা কিংবা মোবাইল টাওয়ার। এসব পাওয়ার জন্য কম চেষ্টা করেননি গ্রামবাসীরাও। তাঁরা সরকারি দপ্তরে বহু ছোটাছুটি করেছেন। দাবি জানিয়েছেন, রিমবাউ-বাতাও-বোরখাট-সোনাপুর রুটের রাস্তা নির্মান করে দেবার। ২০১৯ সালে ১২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র সরকারও। কিন্তু তারপরেও কাজ হয়নি একটুও। ফলে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। তাদের আশা, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হলে হয়তো তাঁরা রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা ব্যবস্থা পাবেন। মুখিয়া আমসে জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশের সরকারকে চিঠি লিখে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি জানাবেন।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মেঘালয়ের গ্রামগুলিতে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশ দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। অনেক বাংলাদেশী মুসলিম অনুপ্রবেশকারী মনিপুর চলে গেলেও, অনেকেই মেঘালয়ের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে থেকে যাচ্ছেন। তাঁরা উপজাতি মেয়েদের বিয়ে করছেন। ফলে এদের সংখ্যা বাড়ছেই। তাই আগামীদিনের সরকার কড়া নজর না দিলে মেঘালয়ে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।