© অরিন্দম পাল
পর্ব-১৭
পুরন্দর দুর্গ জয়
বাদশাহ আদিলশাহের অত্যন্ত বিশ্বস্ত সর্দার বৃদ্ধ মুস্তফাখান মারা যাওয়ার পর বাদশাহ আফজল খানের উপর দায়িত্ব দিলেন শাহাজীকে বিজাপুরে হাজির করার। ওদিকে শিবাজীর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা সম্ভাজীরাজার সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী সহ ফরাদখানকে বাঙ্গালোর পাঠানো হল আর শিবাজীকে ধরে আনার জন্য ফত্তেখান এক বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে রওনা হল কোণ্ডানা দুর্গ অভিমুখে ।
এদিকে পুরন্দর দুর্গকে সব দিক থেকে সুরক্ষিত ও সুদৃঢ় করার জন্য শিবাজী নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন। মাহার ও রামোশি শ্রেণীর বলবান সৈনিকদের দুর্গ-রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হল। দুর্গের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির উপর তোপ স্থাপন করা হল এবং দুর্গের ভিতরে ও বাইরে মজবুত পাহারা বসানো হল।
ফত্তেখানকে একটু শিক্ষা দেওয়ার জন্য শিবাজী তাঁর ঘনিষ্ঠ সর্দারদের কাছে তাঁর পরিকল্পনাটি রাখলেন। একটা ছোট্ট দল নিয়ে হঠাৎ ফত্তেখানের শিবির আক্রমণ করলে কেমন হয় ? ওকে খানিকটা ব্যতিব্যস্ত করে ফিরে আসতে হবে যাতে সহ্যাদ্রি পর্বতের উপর অবস্থিত পুরন্দর দুর্গ আক্রমণ করতে ছুটে আসতে বাধ্য হয়।
শিবাজীর মত বয়সের এক তরুণের এমন সূক্ষ্ম বুদ্ধি ও কৌশলের সকলেই প্রশংসা করল এবং এক কথায় সবাই রাজী হয়ে গেল তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে। খানের শিবিরে হঠাৎ হামলা করার দিন-ক্ষণ স্থির হয়ে গেল। শিবাজীর সংকেত শুনে কোন দল কোন দিক দিয়ে, একই সঙ্গে চার দিক থেকে শিবিরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে― সব পরিকল্পনা ঠিক হয়ে গেল। চারটি সশস্ত্র সৈন্যদল তেজীয়ান ঘোড়ার সওয়ার হয়ে একই সঙ্গে রওনা হল। সকলের পিছনে ভগবা ধ্বজ (গৈরিক পতাকা) নিয়ে পঞ্চাশজন সৈন্যের আর একটি দল রওনা হল। একজন বলবান জাওয়ানের হাতে ছিল স্বরাজ্যের গৈরিক পতাকাদণ্ড।
বেলসরে ফত্তেখানের শিবিরের থেকে বেশ খানিকটা দূরে সৈন্যদল গতি একেবারে কমিয়ে দিল। এবার একেবারে চুপিসাড়ে, সামান্য শব্দও না করে তারা এগিয়ে চলল।
ফত্তেখানের বিশাল শিবিরের চতুর্দিকে মজবুত পাহারা ছিল, কিন্তু ঘুণাক্ষরেও কারো ধারণা ছিলনা যে হঠাৎ কোন বিপদ আসতে পারে। সেখানে সকলেই ছিল নিশ্চিন্ত, সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত ও অসতর্ক।
পরিকল্পনা অনুযায়ী মারাঠা সৈন্যদল চার ভাগে বিভক্ত হয়ে শিবিরের চার দিকে হয়ে দাঁড়াল এবং সংকেত পাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত অকস্মাৎ “হর হর মহাদেব”, “শিবাজী মহারাজ কী জয়” –এর প্রচণ্ড গর্জনের সহিত ঝাঁপিয়ে পড়ল খানের শিবিরের উপর। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই খানের কয়েকশত সৈনিক, মারাঠা বীরদের বর্শা ও তলোয়ারের আঘাতে ভূলুণ্ঠিত হল। ব্যাপারটা বুঝতে খানের সৈন্যদের বেশ খানিকটা সময় লাগল। তখন কোথায় তলোয়ার, কোথায় বর্শা, কোথায় বর্ম, কোথায় শিরস্ত্রাণ― খোঁজাখুঁজি শুরু হল। আবার অনেকে কিছু বুঝতে না পেরে যেদিকে পারল সেই দিকে পারল সেদিকে ছুটে পালাতে লাগল। সেই সুযোগে বহু খান সৈন্যকে যমালয়ে পাঠিয়ে দিল মারাঠা সৈন্যদল।
এতক্ষণ পরে ব্যাপারটা কী বুঝতে পারল ফত্তেখান। তৎক্ষণাৎ তে সৈন্যদের পাল্টা আক্রমণের জন্য তৈরি হতে আদেশ দিল। কিন্তু শিবাজীর পরিকল্পনা মত যা করার তা করা হয়ে গিয়েছিল। এবার ঘরে ফেরার পালা। এতএব, ফত্তেখানের পাল্টা আক্রমণ শুরু হবার আগেই শিবাজীর সৈন্যদল বায়ুবেগে পুরন্দর অভিমুখে ঘোড়া ছুটিয়ে দিল। কিন্তু পতাকাবাহী দলটি হঠাৎই ঘুরে দাঁড়িয়ে খান সৈন্যদলকে আটকে দিল, যাতে মারাঠা সৈন্যদলকে তাড়া করে খানের সৈন্যরা যেতে না পারে এবং ওরা যাতে নিরাপদে দুর্গে ফিরে যেতে পারে।
শিবাজীর এই অদ্ভুত কৌশলে ফত্তেখান দিশাহারা হয়ে গেল। সেই সুযোগে পতাকাবাহী ক্ষুদ্র সৈন্যদলটি বিদ্যুতের মতো খানের সৈন্য-বাহিনীকে চিরে একেবারে ভিতরে ঢুকে পড়ে একসঙ্গে বহু সৈন্যকে সাবাড় করে যেন মন্ত্রবলে বেরিয়ে এলো। কিন্তু তখনই পতাকাবাহী জওয়ান হঠাৎ আহত হল। পতাকা মাটিতে পড়ার আগেই আর একজন সৈনিক এগিয়ে এসে পতাকা উঁচুতে তুলে ধরল এবং আহত সৈনিককে নিয়ে ওরা তীরবেগে পুরন্দরের ফিরে গেল।
ফত্তেখানের জীবনে এমন অপমানজনক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। কিছু দূর শিবাজীর সৈন্যদের পিছনে ছুটে খানের সৈন্যরা শিবিরে ফিরে এল।
ওদিকে পুরন্দর দুর্গে শুরু হল বিজয় উৎসব। ফত্তেখানকে ছোট্ট একটু শিক্ষা দিয়ে প্রায় সকলের নিরাপদে ফিরে এসেছে।
ফত্তেখান শিবিরে ফিরে বেশ কিছুক্ষণ মুখ কালো করে বসে রইল। এত বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে এসে একটা বালকের কাছে এরকম নাস্তানাবুদ হতে হবে― ভাবাই যায় না। শিবাজী প্রায়ই নগণ্য সৈন্যদলের কী সাহস ! কোথা থেকে আচমকা এল, বেধড়ক মার দিয়ে হঠাৎ হাওয়া হাওয়া হয়ে গেল, আর আমরা কিছুই করতে পারলাম না ! ওদিকে বালাজী হৈবৎরাও-এর মত বিখ্যাত সর্দার শিবাজীর সেনার হাতে নিহত হয়েছে, সুভানমঙ্গল দুর্গ শিবাজীর হস্তগত হয়েছে― এইসব মারাত্মক দুঃসংবাদ শুনে ফত্তেখান একেবারে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠল। এই ‘শয়তান’ শিবাজীকে নিয়ে যে কি করবে ভেবে পাচ্ছে না।
এখন পুরন্দর আক্রমণ করে শিবাজীকে ধ্বংস করে ফেলা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। মাত্র পাঁচ ক্রোশ দূরবর্তী পুরন্দরের দিকে রওনা হল। খাড়াই উঁচু পাহাড়ের উপর ঘন জঙ্গলের মধ্যে দুর্গের অবস্থান। দুর্গের রক্ষীরা দূর থেকেই দেখতে পেল ফত্তেখানের সৈন্য দুর্গের দিকে এগিয়ে আসছে। দুর্গের মধ্যে এর জন্য প্রস্তুতি আগে থেকে ছিল। এবার নির্দেশমতো যে যার নির্দিষ্টস্থানে গিয়ে অবস্থান গ্রহণ করল। তোপের মুখ সঠিক দিশায় ঘুরিয়ে দেওয়া হল। গোলা-বারুদ গুছিয়ে নিয়ে তোপচিরা পলতেতে আগুন দেওয়ার নির্দেশের জন্য প্রস্তুত হয়ে রইল।
খানের সৈন্যরা দুর্ধর্ষ দুর্গের পাদদেশে এসে পৌঁছুল। ভয়ঙ্কর সহ্যাদ্রি পর্বতের উপর ভীষণ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে উঠতে হবে ভেবে খানের আরামপ্রিয় ও সমতল যুদ্ধে অভ্যস্ত সৈনিকদের হৃৎকম্প শুরু হল। কিন্তু কী আর করা যাবে। ফত্তেখানের আদেশে একদিকে মুসেখান, বাঁদিকে বজাজী নাইক নিম্বালকর, ডানদিকে মতাজি ঘাটগে এবং পিছনে ফত্তেখান স্বয়ং দলবল নিয়ে প্রবল রণহুঙ্কার সহ দুর্গে আরোহন করতে শুরু করল। হায় ! যারা বাহন ছাড়া এক পা হাঁটতে অভ্যস্ত নয়, তাদের এই ভীমকায় পাথর, শ্বাপদ জন্তু-জানোয়ার, মারাত্মক সরিসৃপ, রক্তচোষা কীট-পতঙ্গ, কাঁটায় ভর্তি ঝোপ-জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এক বিরাট পাহাড় বেয়ে উঠতে হচ্ছে। এমনিতেই সমতলের মানুষের পক্ষে পাহাড়ে ওঠা কষ্টকর। তার ওপর এই যমদূতের মত পাহাড় আর পুরন্দরের মতো ভয়াল-ভয়ঙ্কর দুর্গে আরোহন। যে দূর্গে ওঠাই এমন দুঃসাধ্য, সেই দুর্গের মধ্যে যে রয়েছে সে ছোট্ট হলেও সাক্ষাৎ যম – লড়তে হবে সেই ‘শয়তান’ শিবাজীর সঙ্গে ! এইসব কথা ভাবতে-ভাবতে পর্বত আরোহণের ভীষণ পরিশ্রমে খান সৈন্যের প্রাণ মাঝ-পথেই বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হল। পাহাড়ে চড়ার এদের কোন অভিজ্ঞতা নেই। যেখানে-সেখানে পা রাখতে গিয়ে হঠাৎ পিছলে গভীর খাদে পড়ে গিয়ে চিরকালের জন্য অনেকে নিষ্কৃতি লাভ করল। বাকিদের অনেকের পা ভাঙল, কেটে-ছিঁড়ে গেল, কাঁটায় রক্তারক্তি হল দেহ, ঝোপে-আগাছায় আটকে জামা কাপড় ছিড়ে একাকার কান্ড হল।
খানের সৈন্য উঠছে কিন্তু দুর্গ থেকে কোন প্রতিরোধ নেই। ওরা যতক্ষণ নিশানার কাছাকাছি না আসছে ততক্ষণ শ্মশানের শান্তি বিরাজ করছে। এমন সময় দুর্গের উপর থেকে শিবাজী সংকেত ধ্বনিত হল। আর তারপরেই খানের সৈন্যদের যে দুর্দশা হল তার বর্ণনা করাও কঠিন। হঠাৎই দুর্গ থেকে তোপ গর্জে উঠল, বন্দুক থেকে গুলি ছুটল, কোন অদৃশ্য বনবাদাড় থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে তীরের বর্ষা শুরু হয়ে গেল। সেই সঙ্গে বিশাল বিশাল পাথরের চাঁই দুর্গের চারিদিক থেকে আগুয়ান শত্রু-সৈন্যের ওপর গড়িয়ে পড়তে লাগল ― যার একেক আঘাতেই পাঁচ-সাত জন খান সেনা খান-খান হতে লাগল। ইয়া আল্লাহ ! এ কী রকম লড়াই ! হাতের অস্ত্র হাতে থেকে গেল ― যাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে সেই সব মানুষদের কোথাও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না, পঞ্চাশ-ষাট মণ ওজনের পাথরের সঙ্গে কি ঢাল-তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধ করা যায়। অদৃশ্য থেকে ছুটে আসা তীক্ষ্ণ তীরের ঝাঁকের সামনে টিকে থাকে কার সাধ্য ! খানের সৈন্যবাহিনীর কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে ওদের এইরকম বেঘোরে প্রাণ হারাতে হবে। তা সত্ত্বেও মুসেখান, শেখমিনাদ, রতন বাজাজী নাইক ও মতাজী ঘাটগে অত্যন্ত দুঃসাহসের সঙ্গে পর্বতারাহণ অব্যাহত রাখল। তাই দেখে ফত্তেখানও তার বাহিনী সহ পাহাড়ে উঠতে লাগল। সেই সময়ে শিবাজী দুর্গের সদর ফটক খুলে দেবার আদেশ দিলেন এবং শত্রু-সৈন্যের উপর প্রচণ্ড আক্রমণের সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্গের বাইরে পাহাড়ের উপরেই শিবাজীর সৈন্যবাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ল ফত্তেখান ও তার অন্যান্য সর্দারদের আগুয়ান সৈন্যদলের উপর।
এখন শুরু হলো একজনের বিরুদ্ধে একজন বা দুজনের সম্মুখ-সংগ্রাম। গোদাজী জগতাপ মুসেখানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। ভয়ঙ্কর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। পর্বতের গায়ে রক্তের স্রোত বইতে লাগল। এক সময়ে গোদাজী জগতাপের বর্শা মুসেখানের বুকে বিঁধল, কিন্তু সেও কম বীর ছিল না। বুক থেকে বর্ষা তুলে নিয়ে তাকে দু টুকরো করে ছুঁড়ে ফেলে দিল। তারপর দুজনের তরবারির যুদ্ধ শুরু হল। বিদ্যুতের ঝলকানির মত দুজনের তলোয়ার চলতে লাগল। কিন্তু পর্বতারোহণে অনভ্যস্ত পরিশ্রান্ত মুসেখানের মতো বীরেরও শক্তি ফুরিয়ে আসছিল। আর তখনই গোদাজীর তলোয়ারের মারাত্মক আঘাতে মুসেখানের কাঁধ থেকে দেহের অর্ধাংশ খন্ডিত হল এবং তৎক্ষণাৎ ঐ বীরের মৃত্যু ঘটল।
ওদিকে শিবাজীর বীর সৈন্যদলের ভীষণ আক্রমণে ফত্তেখানের বাহিনী একেবারে নাজেহাল হয়ে পড়ল। স্বয়ং ফত্তেখান প্রাণ নিয়ে পালানোই শ্রেয় বিবেচনা করতে পালাতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে তার সৈন্যদের মধ্যে যারা বেঁচেছিল, তারাও তাদের বীর সেনাপতির পিছনে-পিছনে পড়ি-কি-মরি করে পালাতে লাগল। ভিমাজী ওয়াঘ, কাওজী, বাজী, বালাজী প্রভৃতি শত শত মাবল বীর ‘হর হর মহাদেব’, ‘শিবাজী মহারাজ কী জয়’ বলে তাদের পিছু ধাওয়া করে গেল প্রবল ঝঞ্ঝার মত। সেই আক্রমণে পলায়নপর বহু সৈন্য নিহত হল।
মারাঠা সৈন্য বিজয়োল্লাসে খান সৈন্যদের তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এই দৃশ্য দেখে শিবাজী ও অত্যন্ত প্রসন্ন হচ্ছিলেন, সেই সঙ্গে তাঁর অপরাজেয় সেনাবাহিনীর বীরত্ব দেখে তাঁর গর্বও হচ্ছিল। মারাঠা সৈন্যদের রণকৌশল ও আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ তৎপরতা বাস্তবিকই ছিল দেখার মত। এর ফলে ফত্তেখানের সেই বিশাল সৈন্যবাহিনীর এক অতি ক্ষুদ্র অংশই প্রাণ নিয়ে বিজাপুরের দিকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হল।
খান সৈন্যদের পশ্চাদ্ধাবন করার সময় খোলা ময়দানে হঠাৎ বাজী পাসলকর আক্রান্ত হলেন এবং তাকে হত্যা করে খান সৈন্য তাদের পলায়ন পথের সবচেয়ে বড় বাধা থেকে মুক্ত হয়ে উর্দ্ধশ্বাসে পলায়ন করল।
যুদ্ধের একেবারে শেষ পর্যায়ে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা যুদ্ধজয়ের আনন্দকে অনেকখানি ম্লান করে দিল। যে বাজি পাসলকর একেবারে প্রথম থেকেই শিবাজীর সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধুদের অন্যতম ছিলেন, তাঁর মৃত্যু শিবাজীকে ভীষণভাবে আঘাত করল, কারণ শিবাজীর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বেই এই যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল ।
(ক্রমশঃ)