দেশের সরকারের তরফে কোনোরকম ধার্মিক সার্টিফিকেট দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা সরকারের তরফে চালু না থাকায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই ‛হালাল’ ছাপ্পা মারা মাংস এবং অন্যান্য দ্রব্য খেতে হয় দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষজনকে। এবার সে অবস্থা বদলাতে উদ্যোগী হলেন সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী তথা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রামানিয়াম স্বামী। এব্যাপারে আইনি লড়াই শুরু করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশাপাশি ভারতের জনগণের পক্ষ থেকে পিটিশনে স্বাক্ষর অভিযানও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্বামীর সহযোগী ইস্কারণ সিং ভান্ডারী খাদ্য মন্ত্রকে চিঠি লিখে দেশের হিন্দু ধর্মালম্বীদের অধিকার সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে ধার্মিক সার্টিফায়েড চালু করার দাবি জানিয়েছেন।
ভারতের মত দেশ যেখানে হিন্দু সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পরেও হালাল খেতে বাধ্য হন। এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হোটেল, খাওয়ার দোকানে মুসলিম হোটেল লেখা থাকে। কিন্তু বিগত কিছুদিন ধরে শুধুমাত্র হিন্দু শব্দ লেখার কারণে অনেক হিন্দু ব্যবসায়ীকে জেলে যেতে হয়েছে। হিন্দু ফলের দোকান লেখায় ঝাড়খন্ডে ফল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চেন্নাইয়ের এক বেকারি মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই হিন্দুদের কথা ভেবে ধার্মিক সার্টিফায়েড ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছেন।
ভান্ডারী তাঁর ভিডিও বার্তায় বলেন, কেউ যদি হালাল খেতে চায়, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু যিনি হালাল খেতে চান না, তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা চালু করার দায়িত্ব সরকারের। কারণ হিসেবে তিনি সংবিধানের ১৪ নং ধারার উল্লেখ করেন। তাই দেশে সনাতন ধর্মের শর্ত মেনে ‛ধার্মিক সার্টিফায়েড’ ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।