রমজানের সময় টিভি দেখায় হিন্দু তরুণীকে মারধর, গালিগালাজ এবং খুনের হুমকি দিলো মুসলিম প্রতিবেশীরা। ঘটনা আসামের শিবসাগর জেলার নাজিরা এলাকার। এর আগে এলাকার মুসলিমরা টিভি দেখতে নিষেধ করেছিল, কারণ এটা পবিত্র রমজান মাস। কিন্তু সে নিষেধ না মেনে টিভি দেখেছিলেন ওই তরুণী। তাই মুসলিম প্রতিবেশীরা দল বেঁধে ওই মহিলার বাড়িতে হামলা চালায়।
ঘটনা গত ১ লা মে তারিখের। ওই মহিলার নাম জাহ্নবী গগৈ। তিনি জানিয়েছেন, কাজ থেকে ফিরে ওইদিন সন্ধ্যায় টিভি দেখছিলেন তিনি। সেসময় দরজায় জোর ধাক্কার শব্দ শুনে দরজা খোলেন। দেখেন যে তাঁরই প্রতিবেশী মুসলিম ব্যক্তি সামিরুদ্দিন আলী এবং মবিদুল ইসলাম দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাঁরা এসেই বলতে শুরু করেন যে টিভি চালানোয় তাদের নামাজ পড়তে অসুবিধা হচ্ছে। তাই টিভি বন্ধ রাখতে হবে। এই নিয়ে দুজনের বচসা শুরু হয়। আচমকাই ওই দুজন ওই হিন্দু মহিলাকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। একজন গলা টিপে ধরে তাঁর। পরে আশেপাশের অন্যান্য মুসলমানরা জড়ো হয়। তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ওই মহিলা জানিয়েছেন যে তাকে বেশ্যা বলে কটূক্তি করে তাঁরই মুসলিম প্রতিবেশীরা।
ইতিমধ্যে ঘটনার FIR করতে থানায় যান ওই মহিলা। কিন্তু এফআইআর দায়ের করার বদলে পুলিস প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে নেবার পরামর্শ দেয়। তবে আশার খবর, আতঙ্কিত ওই হিন্দু মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছে হিন্দু সংগঠন বজরং দল। তাঁরা ন্যায়বিচারের দাবিতে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ইতিমধ্যেই নাজিরা থানায় চিঠি দিয়েছে। তারপরেই নাজিরা থানার পুলিস সামিরুদ্দিন আলী এবং মবিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৪৮, ৩৫৪(এ) এবং ২৯৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছে।