করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রশাসন। কিন্তু প্রথম থেকেই তাবলীগ জামাত সদস্যদের বিরুদ্ধে অসভ্য আচরণ, প্রশাসন এবং চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ এসেছে সারা দেশ থেকে । এবার তেমনই ঘটনার খবর এলো উত্তর প্রদেশের কানপুর থেকে। সেখানকার হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকা তাবলীগ জামাত সদস্যরা হাসপাতালের দেওয়া খাবার লাথি মেরে ফেলে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে আরও অভিযোগ যে, তারা খাবারে বিরিয়ানি এবং ডিমের দাবি জানাচ্ছেন।
কানপুরের গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থী মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেশকিছু তাবলীগ জামাত সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে আসছেন ওই তাবলীগ জামাতিরা। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ আরতি লালচন্দানির বক্তব্য যে, তাবলীগ জামাতিরা দুর্ব্যবহারের সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাঁরা হাসপাতালের তরফে দেওয়া খাবারের থালা লাথি মেরে ফেলে দিচ্ছেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধ্যক্ষা জানিয়েছেন যে হাসপাতালের তরফে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদেরকে রুটি, সবজি, ডাল এবং ভাত দেওয়া হয়। এছাড়াও, খাবারে স্যালাড ও ফল দেওয়া হয়। কিন্তু কোয়ারেন্টাইনে থাকা তাবলীগ জামাত সদস্যরা সেই খাবার খেতে চাইছেন না। উল্টে বিরিয়ানি চাইছেন। না পেয়ে গালাগালি থেকে দুর্ব্যবহার কোনো কিছুই বাকি রাখেনি তাঁরা। প্রসঙ্গত, কানপুরের ওই হাসপাতালে ৭০ জন তাবলীগ জামাত সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।