
কয়েকদিন আগেই দিলীপ ঘোষ পুনরায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। রাজ্যের তামাম বিজেপি কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে জাতীয়তাবাদী মানুষজন এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সমর্থন পেয়েছেন রাজ্যের হিন্দুত্ববাদী নেতাদের। সমর্থন জানিয়েছেন রাজ্যের প্রভাবশালী হিন্দু সংগঠন হিন্দু সংহতির সভাপতি শ্রী দেবতনু ভট্টাচার্য এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সচিন্দ্রনাথ সিংহ । কিন্তু তারপরেই এক শ্রেণীর মানুষ, যারা নিজেদেরকে হিন্দুত্ববাদী বলে দাবি করছেন, তাঁরা এই হিন্দুত্ববাদী নেতাদের সমালোচনায় মাঠে নেমে পড়েছেন। ইতিমধ্যেই সমালোচনামূলক লেখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চোখে পড়েছে।
এই সমালোচনা ঘিরে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। একশ্রেণীর মানুষ যারা সমালোচনা করেছেন, তারা দাবি করছেন যে তারা হিন্দুত্ববাদী নেতা তথা হিন্দু সংহতির প্রাক্তন সভাপতি তপন ঘোষ, যিনি বর্তমানে সিংহবাহিনী নামক হিন্দু সংগঠন তৈরি করেছেন; তাঁর সমর্থক এবং তাকে আদর্শ বলে মানেন। তাঁরা দেবতনু ভট্টাচার্যের করা মন্তব্য ‘ কালেক্টিভ লিডারশিপ দরকার। সবার মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দিতে হবে ’ -কে একহাত নিয়েছেন। তাঁরা সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন যে, দিলীপ ঘোষ একরকম যোগ্যতাহীন ব্যক্তি, তার ক্ষমতা নেই তপন ঘোষের সমকক্ষ হওয়ার। এছাড়াও, হিন্দু সংহতির সভাপতির বিরুদ্ধে তপন ঘোষের বিরুদ্ধাচরণ করার অভিযোগ করে বলা হয়েছে, তিনি তপন ঘোষকে সিঁড়ির মতো ব্যবহার করেছেন। ফলত এই সমালোচনা ঘিরে তোলপাড় দেখা গিয়েছে। অনেকেই এই সমালোচনায় ক্ষুব্ধ। তাদের বক্তব্য দেবতনু বাবুর নেতৃত্বে হিন্দু সংহতির ব্যাপ্তি ও বিস্তার আগের তুলনায় অনেক বেশি এবং হিন্দুদের আশা ভরসা হিসেবে উঠে এসেছে। এমতবস্থায় এই সমালোচনা বাংলার হিন্দুত্ববাদী শক্তিকে দুর্বল ও ভাগ করার চক্রান্ত বলেই মনে করছেন তাঁরা।