
এই বাংলায় খুব বেশিদিন হয়নি আসাদুদ্দিন ওয়েসীর দল মিম-এর । কিন্তু এরই মধ্যে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির মাথাব্যথা হয়ে উঠেছে এই কট্টর মুসলিম দল। মুসলিমদের নিয়ে রাজনীতি তো ঠিকই ছিল, কিন্তু দলিত- মুসলিম ঐক্যের ভয়ঙ্কর খেলায় নেমেছে এই মুসলিম দল। ইতিমধ্যেই দলিত ও মুসলিম ঐক্য স্থাপনের লক্ষ্যে জোরদার প্রচারে নেমেছে এই দলটি। সেই লক্ষ্যে তাঁরা শ্লোগান দিচ্ছে- ‛জয় ভীম, জয় মীম’ ।

সেইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে প্রচার চলছে যে এই বাংলায় দলিতরা ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত। উচ্চ বর্ণের হাতে ক্ষমতা, তাই দলিতরা বঞ্চিত। একমাত্র দলিত- মুসলিম ঐক্যই দলিতদের ন্যায় বিচার এনে দিতে পারে। সেইসঙ্গে প্রচার চালানো হচ্ছে মিম ক্ষমতায় এলে একজন দলিতকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। আর উপমুখ্যমন্ত্রী হবে একজন মুসলিম। আপাত অর্থে এইসব বক্তব্য বেকার মনে হলেও ফেলে দেওয়ার মতো নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গে মিম-এর সহযোগী ‛জয় ভীম ইন্ডিয়া নেটওয়ার্ক’, যার নেতা শরদিন্দু উদ্দীপন । সেইসঙ্গে রয়েছে সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাসের সংগঠন ‛নাগরিকত্ব সুরক্ষা ও সংগ্রামী মঞ্চ’ ।এই সংগঠন দীর্ঘদিন এই কথা বলে আসছে দলিত- মুসলিম ঐক্যের কথা । সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস নিজে দলিতদের মুসলিম ঐক্যের কথা শোনাচ্ছেন। আর সুকৃতি রঞ্জন-এর সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন মুফতি আব্দুল মাতিন। এই সংগঠন বিগত কয়েকবছর ধরে মুসলিম এলাকাগুলিতে ছোট ছোট সভা করে মুসলিমদেরকে নানা দাবিতে আন্দোলন করতে প্ররোচনা দিচ্ছেন। এই সংগঠনের একটা বড় দাবি হলো এই যে মুসলিমদের ভারতের ভূমিপুত্রের মর্যাদা দিতে হবে।ফলে মুসলিমরা যদি অনুপ্রবেশকারী হয়, তাহলে তাকে বিতাড়ন করা হবে না। এছাড়াও এদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন ছোটন দাস এবং তাঁর সংগঠন ‛বন্দি মুক্তি কমিটি’ ।
এবার একটা ছোট ইতিহাসের কথা বলি। এর আগেও দলিত-মুসলিম ঐক্যের ফল আমরা দেখেছি। সেই দলিত-মুসলিম ঐক্যের ফাঁদে পা দিয়ে, দলিত -মুসলিম ঐক্যের স্বর্গরাজ্যের কথায় বিশ্বাস করে কোটি কোটি হিন্দুর সর্বস্ব হারানো দেখেছি আমরা। সেই ঐক্যের ফাঁদে পা দিয়ে হিন্দুর উদ্বাস্তু হওয়া। বাঙালি হিন্দু যে ঘর পোড়া গরু। একবার দলিত-মুসলিম ঐক্যের ফাঁদে পা দিয়ে তার সর্বস্ব গিয়েছে। আর একবার দলিত-মুসলিম ঐক্য স্থাপনের চেষ্টা সফল হবে কিনা, সে তো সময়ই বলবে। কিন্তু বাঙালি হিন্দু যদি ঐক্যবদ্ধভাবে এই বিষবৃক্ষের মোকাবিলা না করে, তাহলে বাঙালি হিন্দুর ভাগ্যাকাশে আবার কালোছায়া দেখা দিতে পারে। সকল দেশপ্রেমী বাঙালি জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে যদি ‛বিষবৃক্ষ’-কে উপড়ে ফেলতে না পারে, তাহলে আর একবার কালোদিন আসতে চলেছে।
© hinduvoice.in